এই আধুনিক সভ্যতায় কম্পিউটার ছাড়া কোনওকিছু চলতে পারে না, মনে হয় যেন কোথাও একটা বাধার সম্মুক্ষীণ হতে হচ্ছে. আমি সব জান্তা নই, কম্পিউটার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছি প্রায় 18 বছর, শিখেছি............ অনেককিছু শিখতে পেরেছি -এই কম্পিউটার থেকে. কম্পিউটার শুধু গান শোনার জন্য নয় বা ফিল্ম দেখার জন্য নয় বা গেম খেলার জন্য নয়, -এই কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা শুধু শিক্ষা কেন, রোজগার করার সুযোগও পেতে পারি. তাও আবার বাড়িতে বসে. তবে হ্যাঁ, আগে আপনি কম্পিউটারেরে বিভিন্নরকম আদব কায়দা কানুন শিখুন, তারপর এইসব নিয়ে ভাববেন.
আমি সাধারণ পরিবারের ছেলে, একসময় শুধু টাইপ সেন্টারে টাইপ শিখেছিলাম শখের বসে বলুন, আর জানার ইচ্ছে তে বলুন. এই টাইপ আমাকে আজকে অনেক উপরে নিয়ে গেছে, যা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি না. ভাবছেন, আমি কিসব গাঁজাখোর গল্প বলছি.. শুনতে ইচ্ছে করছে, তাই তো....
প্রথমে আমি টাইপ কলেজে গিয়ে 6 মাস ধরে টাইপ শিখলাম, টাইপের স্পীডও খুব ভালো, এরপর কাজের সুবাদে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়লাম রোজগার করার আশায়, তবে নিজের ইচ্ছে তে নয়, পরিবারের চাপে ও মনের কষ্টে. যাইহোক, ঘর থেকে 75-80 কিলোমিটার দূরে এক শহরের কম্পিউটার দোকানে শুধু টাইপিস্ট হিসেবে একটি কাজ পেলাম, আমাকে শুধু টাইপ আর টাইপ করতে হবে. কিন্তু কম্পিউটার জানি না, এটা তো আর ম্যানুয়েল টাইপ নয়... ওই দোকানের মালিক আমাকে কম্পিউটার অন করে বসিয়ে দিত, আর কোথায় টাইপ করতে হবে, ওই পেজটি খুলে দিতে (শুরু হয়েছিল ওয়ার্ডপ্যাড নিয়ে). আমিও তাই করতাম, কাজ শেষ হয়ে গেলে উনি কম্পিউটার বন্ধ করে দিতেন. এইভাবে আমার কাজের শুরু. এই কাজে আমার বেতন কত ছিল জানেন, মাত্র 600 (1998), তার উপর নো ওয়ার্ক নো পে. 2-3 তিন মাস ধরে এইভাবে বেশ ভালোভাবেই কাজ চলছিল. একদিন মনে হলো আমি নিজে কম্পিউটার অন করবো, কিন্তু কখন করবো, ভাবলাম- যে সময় ওই মালিক দোকানে থাকবে না, আমি একবার ট্রাই করবো.. ভাবা আর কাজ করা.. বেশ হয়েই গেল... আমি তো মালিকের সিস্টেম অনুযায়ী পাওয়ার সুইচ অন করে কম্পিউটার অন করলাম, কিন্তু এখনও ভাবলে আমার হাসি পেয়ে যায়... কেন জানেন, কম্পিউটার অন করা খুব ভালোভাবে জেনেছি, কিন্তু কিভাবে বন্ধ করা হয়, তা তো আমি জানি না... তাহলে কি হবে, মালিক যদি এখুনি চলে আসে,..... কি হবে.. ব্যাস ভাবতে ভাবতে মাথা দিয়ে ঝর ঝর করে ঘাম পড়ছে..... এইভাবে 20-25 মিনিট পর কম্পিউটারের সামনে বসে আছি... আর ভাবছি.. কিছুক্ষণ পর দেখি, মালিক দোকানের দিকে আসছে.. আমি আর কোনও কিছু না ভেবে একটা বুদ্ধি মাথায় খেলে গেলো, ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ডের পাওয়ার ডাইরেক্ট বন্ধ করে দিলাম, ব্যাস কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলো... এই যাত্রায় বাঁচা গেলো বলে, দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেললাম... কয়েকমাস ধরে আমি এইভাবে মালিকের অবর্তমানে কম্পিউটার অন করে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম. এই বলুন আমার কম্পিউটার কোর্স, আর এই বলুন আমার কম্পিউটার শিক্ষা. আমি এখনও পর্যন্ত কোথাও কম্পিউটার কোর্স না করে, দিব্বি কম্পিউটারের কাজ করছি... ও আর একটি কথা বলা হলো না.. এইভাবে 9-10 মাস কাটার পর মালিকের ব্যবহার আমার ভালো লাগলো না, আমি কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে থাকলাম... তারপর বাবাকে অনেক অনুনয় বিনয় করে বললাম, তুমি আমাকে একটা কম্পিউটার এনে দাও তোমাকে মাসে 3000 টাকা করে রোজগার করে দেবো.. বাবা কিভাবলো কে জানে, আমাকে কম্পিউটার দোকান থেকে ধারে একটা কম্পিউটার এনে দিলো.. আমি ওই নতুন কম্পিউটার পেয়ে খাওয়া-দাওয়া ঘুম -সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ঘাঁটতে ঘাঁটতে কিছু কিছু করে শিখেছি, তাও আবার কোনওরকম কাজ চালানোর মতো. এইভাবে শিখতে শিখতে আজকে আমি একটা কম্পিউটার দোকান খুলে প্রায় 11 বছর.
এই কম্পিউটার কেনার পেছনেও একটা ইতিহাস আছে...আমি বেকার থাকার জন্য বাবা খুবই চিন্তায় ছিলেন, আমাকে কিছু বলতেন না, তবে উনার চলন-চালন দেখে বুঝতে পারতাম...এক দেড় বছর পর একদিন বাবা আমাকে বললেন, পটাশপুর নামক এক জায়গায় কম্পিউটার নিয়ে কাজের খবর আছে, যা থেকে কিনা তখনকার দিনে প্রতিমাসে 30000 টাকার মতো বেতন পাওয়া যাবে.. এইরকম সংবাদ দিয়েছেন বাবার এক বন্ধু.. যা আমি বাবার কাছ থেকে শুনলাম.. এই কথা শুনে আমি তখন ততটা ইন্টারেস্ট ফিল করলাম না, কারণ আমি তখন সিডি রেকর্ডি করে প্রতিদিন 200-300 টাকা মতো রোজগার করছি... শুধু এই কারণ নয়, পটাশপুরের ওই কাজের জন্য এডভান্স 30000 টাকা দিতে হবে আর মোট 100000 পরিষোধ করতে, যা কিনা আমার বেতন থেকে কাটা হবে.. তারপর ওই টাকা পরিষোধ হলে.. আমার হাতে বেতনের টাকা দেবেন.. আমি এই কাজকে আগে থেকেই চিটিং কাজ ধরেছিলাম.. আমার কথা কিন্তু পরে সত্যি হলো.. কারণ, জানতে ইচ্ছে করছে..
আমি এই কাজ করবো না বলে, ঘরে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলাম.. আর আমার বাবা তো নাছোর বান্দা.. এই নিয়ে সংসারে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকতো... পরে কারণটা জানতে পারলাম... যেহেতু বাবা এই কাজের জন্য উনার বন্ধুর কাছে কথা দিয়ে ফেলেছিলেন.. আর আমি যদি এই কাজ না করি.. বাবার মানসম্মান নষ্ট হবে.. ইত্যাদি ইত্যাদি..আর থাকা গেল এই অশান্তির মধ্যে.... তো একদিন বাবাকে আমি বললাম.. বাবা এই কাজ চিটিং ধরনের.. আরও নানান কথা বললাম.. বাবা তো নাছোরবান্দা.. বাবার কথা মতো একদিন আমাকে ওখানে নিয়ে গেলেন.. সঙ্গে আমার কাগজপত্র আর 30000 টাকা... অফিসে তো গেলাম.. দ্বো-তলায় অফিস... দেখলাম.. 5-7 জন বসে অফিসের ভেতর মিটিং চলছে.. তাই আমাদের ওয়েট করতে বললেন.. দেখলাম.. আমার মতো প্রায় আরও 10-12 জন.. এই ধরনের কাজের জন্য এসেছেন অফিসে দেখা করতে.. যাইহোক আমরা তাই করলাম.. 45 মিনিট ধরে ওয়েট করার পর আমাদের অফিসের ভেতরে প্রবেশের পারমিশান দিল.. তখন ওই অফিসের মধ্যে 2 জন বসে আছেন.. আর বাকী 4-5 জন অন্য রুমে বিভিন্নরকম কাজ করছেন... অফিসের ম্যানেজারের কথা শুনে আমার চক্ষু চড়ক গাছ...আমার সামনে বাবাকে কি কথা বললেন শুনবেন... "আপনার ছেলে যদি এই কাজ করে (কম্পিউটার) প্রতিমাসে 30000 টাকা করে বেতন পাবে, তবে এই কাজ আপনার ছেলে বেশীদিন করবে না, কারণ-- ও যখন ফিল্ডে বেরোবে ওখানে আরও বেশী বেতন ইত্যাদি ইত্যাদি... তারপর ম্যানেজার বললেন.. কাগজ-পত্র জেরক্স করে এনেছেন.. বাবা বললেন না.. তখন, ওই ম্যানেজার বললেন.. আমার অফিসের উল্টোদিকে রেজিস্ট্রি অফিসের পাশে জেরক্স দোকান আছে, ওখান থেকে জেরক্স করে আনুন..." আমরা জেরক্স করার জন্য নিচে নামলাম.. তারপর বাবাকে বললাম.. দেখলে.. এইসব কথা শুনে তোামার মনে হচ্ছে না.. এটা চিটিং ছাড়া আর কিছুই নয়, আমি আগে বলেছিলাম... এটা চিটিংবাজের পাল্লায় পড়েছি... কারণ, এখনকারদিন মাসে 30000 টাকা মানে বিশাল... কোনও সরকারী অফিসারের থেকে বেশী বেতন... জেরক্স করতে করতে বাবাকে আড়ালে ডেকে বললাম.. চল বাড়ি চলো.. অফিসে আর কাগজ জমা দিতে হবে না.. আমি বাবাকে বললাম.. তুমি আমাকে তোমার কাছে যে 30000 টাকা আছে, ওটা আমাকে দাও, আমি কম্পিউটার কিনবো.. আমি বললাম.. বাবা, তোমাকে কথা দিলাম তোমাকে প্রতিমাসে আমি 3000 টাকা করে দেবো.. তাতে তো সংসার মোটামুটি চলে যাবে.. বাবা কি বুঝলেন জান না, আমার কথা শুনে কিছুটা সময় ভাবলেন, তারপর আমাকে নিয়ে ট্রেকার ধরে সোজা ঘর.. তারপর ... কি হলো.. তা নিচে দিলাম.. তবে একটা হাসির কথা আপনাদের না বললেই নয়.. বাবাকে আমি কথা দিয়েছিলাম মাসে 3000 টাকা করে সংসারে দেবো.. কিন্তু তা কি কখনো হয়.. কম্পিউটার একটু জেনে কি আর রোজগার করা যায়.. আমি সিডি রেকর্ডি-এর কাজ করে বাবা-মায়ের হাতে 50-100 টাকা করে তুলে দিতাম.. ওই প্রথমের দিকে যা টাকা দিতাম.. 2-3 মাস পর ওইরকম আর দিতাম না.. কখনো এই নাও 50 টাকার মাছ নিয়ে আসবে, আবার কখনো বলতাম এই নাও 100 টাকার মাংস নিয়ে আসবে... ঠিক এইরকম...
প্রথমের দিকে আমি গানের ক্যাসেট রেকর্ডিং করে রোজগার করতাম আর বাছাই ভিডিও ও অডিও-এমপিথ্রি-3 গান তৈরী করে অনেকের কাছে আমার নাম-ডাক হলো... কারণ আমি যেখানে থাকতাম, ওই এলাকার প্রায় 30 কিলোমিটার রেঞ্জ-এর মধ্যে কোনও কম্পিউটার ছিল না (আমি যতটুকু জানি). তার কারণ, আমার কাছে 30 কিলোমিটার দূর থেকেও লাইন ধরে কাজ করতে আসতো, কেউ বলতো আমাকে আগে ছাড়ো, কেউ বলতো আর কত দেরী.. এইসব কারুকার্জ চলত বাড়িতে বসেই.. আর এই রোজগারের থেকে নিজের কিছুটা পকেট খরচ রেখে বাবা-মায়ের হাতে টাকা তুলে দিতাম.. উনারা খুব আনন্দ সহকারে আমার টাকা গ্রহণ করতেন, দেখতাম- আমাকে আগে যে চোখে দেখতেন, রোজগার করার টাকা হাতে তুলে দিতে... কিছুটা সমাদর পেলাম.. যাইহোক, এইভাবে কাজ আর রোজগার, রোজগার আর কাজ, কাজ আর কম্পিউটার ঘেঁটেঁ ঘেঁটে শেখা -এইভাবে 2-3 বছর চলার পর আমি কম্পিউটার দোকানের জন্য বাজারে একটা জায়গা পেলাম.. তাও আবার নিজের ভাড়া করা নয়, অন্যের ভাড়া করা দোকানে আমি নিজের একটা কম্পিটার বসানোর সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র, এর জন্য মাসে আমাকে 700 টাকা করে দিতে হতো, কারণ, উনারা ডোনেশান দিয়ে ঘর নিয়েছেন আর ওদের ঘর ভাড়া প্রতিমাসে 500 টাকা, আমার কষ্ট হলেও ওদের ঘর ভাড়ার জন্য চিন্তা করতে হতো না, কারণ আমার টাকায় ওরা ঘরভাড়া দিত.. আমি এইসব না ভাবে নিজের কাজ করতে লাগলাম... প্রথমে সিডি ক্যাসেড রেকর্ডিং... তারপর ট্যাপের রিল ক্যাসেট থেকে সিডি ক্যাসেট-এ কনভার্ট, -এইসব কাজ আবার বেশীদিন চলল না, কারণ, এতদিন পর ধীরে ধীরে এক-একটা করে কম্পিউটার দোকান বাড়তে থাকলে.. তবে আমি আমার কাজ যতটা সম্ভব বজায় রাখার চেষ্টা করেছি. এরপর ভাবলাম কি কাজ করলে রোজগার হবে.. ধীরে ধীরে ডিটিপি টাইপ নিয়ে ভাবতে লাগলাম.. একদিন এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কে ধরে আমার কম্পিউটারে বাংলা টাইপ সফ্টওয়্যার আর ডিটিপি কাজ করার জন্য বিভিন্ন সফ্টওয়্যার ইন্টল করিয়ে নিলাম.. এর জন্য আমাকে 300-400 টাকা পে করতে হলো.. আর আমি এরপর ডিটিপি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে বায়োডাটা তৈরী করা, সাধারণ প্রিন্ট আউট বের করানো (এখানে প্রবেশ নিষেধ, না বলিয়া প্রবেশ করিবেন না, জুতো বাইরে রাখুন, এই দোকানের স্থান পরিবর্তন... এইসব প্রিন্টআউট) ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে রোজগার করার চেষ্টা করলাম.. এরপর... ইন্টারনেট চালানো, গুগুল সার্চ, বিভিন্নরকম ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করে...তবে এই ইন্টারনেট চালানোর পেছনে একজনের হাত রয়েছে, উনার নাম না বললেই নয়.. উনার নাম স্বপন পয়ড়্যা (এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ), উনি তখন অনলাইন সুপার লোটোর কাজ করতেন, আর এক কাজের সুবাদে আমার কাছে এসেছিলেন, তখন আমি উনাকে চিনতাম না.. কাজটি হলো কম্পিউটার ফরম্যাট করা.... আর আমি তখন ওই কাজে ভালোই পটু... তখনকার সময় আমার এই কম্পিউটার ফরম্যাট নিয়ে খুবই নাম-ডাক ছিল..কারণ তখন আমার শহরে হাতে গোনা 2-3জন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার নিয়ে কাজ করতেন.. উনি সুপারলোটো-র ডিস্ট্রিবিউটার হওয়ার কারণে উনার কাছে তখনকার দিনে রিলাইন্সের রিসিভারে ফ্রি আনলিমিটেড টাটা কোম্পানীর ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল... আমি উনাকে একদিন অনুরোধ করেছিলাম, দাদা আপনার কাছে তো অনেক কম্পিউটার সেট-আপ আর ইন্টারনেট রিসিভার আছে, আমাকে কিছুদিনের জন্য চালাতে দিন না... উনি আমাকে দিয়েছিলেন, কথা রেখেছিলেন.. আমি প্রায় 8-9 মাস ফ্রি তে ইন্টারনেট ঘেঁটে অনেককিছু শিখেছি.. আর ওইসময় ঘাঁটাঘাঁটি করে গুগুল এডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভও করেছিলাম... এখন মনে পড়ছে.... কিন্তু আমি তো তখন গুগুল এডসেন্স-এর বিষয়বস্তু ও রোজগার নিয়ে তেমন কিছু জানতাম না.. শুধু একাউন্ট এপ্রুভ করতে পেরেছিলাম, তাও আবার ইন্টারনেট ঘেঁটে... ব্লগে এড শো-ও করতো .... 4-5 মাস দেখেছি.. এর কিছুদিন পর দেখলাম, আমার ইমেল-এ একটা মেইল এসেছে.. আপনার এডসেন্স একাউন্ট ডিস-এপ্রুভ, আমি তখন এই মেইল-এর মানে বলুন, অর্থ বলুন.. কিছুই বুঝতাম না, আর ইন্টারেস্টও ছিল না...তাই এই এডসেন্স নিয়ে কিছু ভাবতাম না.. এখন আমি এই গুগুল এডসেন্স থেকে প্রতিমাসে 500 ডলারের বেশী রোজগার করছি... আজকে আমি.. সাধারণ ব্লগ ডিজাইনার, অনলাইনের কাজ শেখানো, যা থেকে ঘরে বসে নিজের কম্পিউটারে বসে অন লাইনে কাজ করে রোজগার করতে পারবেন (পিটিসি - পেইড টু ক্লিক, বিজ্ঞাপণ দেখে রোজগার ও গুগুল এডসেন্স ইউটিউব মার্কেটিং ও ব্লগ মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি)... সবই আপনাদের আর্শীবাদে... আমার জীবনের চক্র পুরো ইতিহাসে ভর্তি.. শুধু ইতিহাস আর ইতিহাস.. জানি না আপনাদেরও এইরকম কোনও অভিজ্ঞতার সম্মুক্ষীণ হতে হয়েছে কিনা.. আমি তো হয়েছি.. তাই একটা কথা আমার বলতে ইচ্ছে করছে---গানের কিছুটা লাইন.. বেটা আমার বদনাম করে গা..
আমার একটাই কথা.. আমি বাবা-মায়ের নাম না বা রাখতে পারি, বদনাম তো আর করিনি...
Email : egramcn@gmail.com